বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক বাংলা ত্রৈমাসিক অনুষ্টুপ-এর যৌথ উদ্যোগ
বলবেন অরিন্দম চক্রবর্তী
ইয়ং বেঙ্গল থেকে কমিউনিস্ট বেঙ্গল
প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ইয়ং বেঙ্গল থেকে কমিউনিস্ট বেঙ্গল’বইটি তার বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় লেখা প্রবন্ধ ও নিবন্ধের একটি উল্লেখযােগ্য সংকলন।
ব্রকোলি থেকে ড্রাগন ফুট—কী না হয় বাংলায়? হাল-বলদ
ছেড়ে চাষি আজ চালান ট্রাক্টর, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টর। বর্ষাতেও পেঁয়াজ ফলছে, গরমেও মিলছে
ফুলকপি। তবু বাংলার চাষি কি বাজার ধরতে পারছেন? বাড়ছে তাঁর রােজগার? কৃষিজীবীর জমির
অধিকার, সরকারি সহায়তার
কার্যকারিতা, কর্পোরেটের সঙ্গে চাষির বােঝাপড়া, খেতমজুরের ভিন রাজ্যে যাত্রা, মেয়েদের
‘কৃষক’ স্বীকৃতি পাওয়ার লড়াই গত দুই দশকে পশ্চিমবঙ্গের চাষ ও
চাষির হাল-হকিকত খতিয়ে দেখল এই বই।
অ প র :লেখা ও কথার সংকলন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের প্রথম বাংলা বই। প্রথম লেখা প্রবন্ধটির বিষয় হল অবিনির্মাণ (Deconstruction) আর শেষ লেখা ২০২২ এর জানুয়ারি। মধ্যবর্তী সময়ে স্মৃতিচারণমূলক গদ্য। আর ছাত্রজীবনে ‘কলকাতার বাস’ নিয়ে একটি অসাধারণ রচনা। ইংরেজি ভাষায় লেখালিখির জন্য তিনি সুপরিচিত। ফরাসি দার্শনিক জাক দেরিদার অফ গ্রামাটোলজির ইংরেজি অনুবাদ তার একটি স্মরণীয় অবদান। এছাড়া বিশ্বব্যাপী প্রসারিত তার তত্ত্ব ও চিন্তন অসংখ্য ইংরেজি গ্রন্থে বিধৃত। তার অসংখ্য রচনায় বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি উদ্ভাসিত। আর তাঁর মতে, তিনি তাে বিশ্ব নাগরিক। য়ুরােপ, আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকায় গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের চিন্তা সতত সঞ্চারমান।
"আজ আমি নজর দিতে চাই বর্তমান পরিস্থিতির ওপর এবং সেই সঙ্গে, ফিরে যেতে চাই তার গােড়ার কথায় যা এখনকার অবস্থা বােঝার পক্ষে খুবই জরুরি। অর্থাৎ, আমি সেই ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা বিশ্ব ব্যবস্থার আলােচনা করব যেটা জন্ম নেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রলয়ের পর এবং আজও চলে আসছে মােটামুটি অবিকৃতভাবেই।"
মার্কসের তত্ত্বের প্রয়ােজন এখনাে শেষ হয়ে যায় নি। মার্কসের
ইতিহাসচিন্তা, মাকর্সের এবং মার্কসবাদী চিন্তায় গণতন্ত্র ভাবনা
কীরকম এই দুই বিষয়ে আলােচনার পর লেখক বিশ্লেষণ করেছেন ভারতবর্ষে ও বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে
বামপন্থীরা
মার্কসবাদ ও গণতন্ত্র নিয়ে কীভাবে ভেবেছেন।
কৌতুক হাস্য অঁরি বেয়র্গসন-এর তিনটি দীর্ঘ প্রবন্ধের সংকলিত
রূপ নিয়ে ১৯০০ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। দার্শনিক অন্বীষা ও গভীর মননরিদ্ধ এই
প্রবন্ধগুলিতে কৌতুকহাস্যের বিভিন্ন শ্রেণি নির্ধারণ, তাদের উৎস হিসাবে ক্রিয়াশীল নানা
তথ্যের অন্বেষণ এবং সেই অন্বেষণের ফলে প্রাপ্ত তত্ত্বকে বিশেষ সূত্রের সাহায্যে গ্রন্থণ এই
বইটির বৈশিষ্ট্য।
রেবার মধ্যে সবসময়ে একটা আলাে থাকে, প্রাণের আলাে। সেই আলাে
পারে বােধহয় অপরের প্রাণের প্রদীপটা জ্বেলে দিতে। তাই রেবার পরিচিত মানুষরা পরিচিতির উঠোন
পেরিয়ে বন্ধু, আত্মীয় হয়ে যায় অনায়াসে। কারাের বিপদ আপদের খবরে উনুন থেকে মাঝপথে,
চাপানাে রান্না নামিয়ে, আলনা থেকে সামনের শাড়িটা টেনে কোনওমতে জড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে
পড়ে সে। নিজের ঘর-সংসার ফেলে অন্যের জন্যে ছুটতে পারে এতােটা বলেই বােধহয় বালুরঘাট শহর
তাকে গঙ্গাজল-সই পাতিয়ে ফেলল।
দীর্ঘ আড়াই হাজার বছরের
পরিসরে বিস্তৃত সংকলনের গল্পগুলির সময়সীমা গৌতম বুদ্ধ থেকে আমাদের এই অর্বাচীন কাল
পর্যন্ত। ফলে ক্রমেই বদলে যাচ্ছে। গল্পগুলির ভাষা, গদ্যের শৈলী এবং
বলার ভঙ্গি। কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই নির্ভুল দ্যোতনায় বেজে উঠছে।
মান্য চলিত বাংলার ক্রিয়াপদ গঠন করার নিয়মগুলাে জানা দরকার কেন? | বাংলা যাদের মাতৃভাষা, তাঁদের জানা দরকার ভাষার প্রমিত রূপটিকে পরিস্কার করে চেনার জন্য, ঔপভাষিক রূপের সঙ্গে তার তফাত কোথায় তা বােঝার জন্য। বাংলা যাদের মাতৃভাষা নয়, তাঁদের এই নিয়মগুলাে দরকার হয় বাংলা ভাষা শিখতে গেলে। এখন যেহেতু সম্পাদকীয় হস্তক্ষেপ ছাড়াই লেখা। প্রকাশ করা সম্ভব, এবং অনেকেই নানাভাবে বাংলা লিখছেন সর্বসমক্ষে
প্রচারের জন্য, এই নিয়মগুলাে সম্পর্কে সচেতনতা থাকাটা জরুরি।
ব্যক্তিগত শােকের জৈব অনুভূতিকে আমি যদি আমার ভাষায় (মানে আমি যে ভাষা জানি, একটু ইতিহাস ও সমাজ মিলিয়ে বাংলা গদ্যের ভাষা) একটা চালচিত্রে দ্রুত পেশ না করি, কয়েকদিন পরে মানুষের। হয়ত এই সংবাদে আর আগ্রহই থাকবে না। সেই কারণেও এক প্রকার জৈবিক শােককে সামাজিক ভাষায় অনূদিত করার এই প্রাণান্তকর প্রয়াস।